Logo

রাজনীতি    >>   জনপ্রশাসনের সংস্কার নিয়ে বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য

জনপ্রশাসনের সংস্কার নিয়ে বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য

জনপ্রশাসনের সংস্কার নিয়ে বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য

 

জনপ্রশাসনের সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন এখনও ব্রিটিশ আমলের নিয়ম অনুসরণ করছে। জনগণের স্বার্থে কাজ করার পরিবর্তে প্রশাসনের কার্যক্রম কোটারি স্বার্থের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "গার্ড অব অনার দেয়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমনে আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এখনও জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ এর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ। ৫৩ বছরেও এ লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়নি।"

তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসনের কাজ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা নাকি কোটারি স্বার্থে সেবা দেয়া, তা এখন বড় প্রশ্ন। দেশের প্রশাসন কাঠামোর সংস্কার দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকায় জনগণের আস্থা কমে গেছে।

২০০৮ সালে "দিন বদলের সনদ" নিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "দিন বদলেছে, তবে দিনের বদলে রাত এসেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পরিবারতন্ত্র এগুলো তাদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সংস্কার আজ গালিতে পরিণত হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, দোষীদের বিচারের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে এবং জনগণের জন্য কার্যকর প্রশাসন নিশ্চিত করতে সংস্কার প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন সরকারকে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব দেবে। তবে এসব প্রস্তাব কার্যকর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একই অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহমিদ আহমেদ জনপ্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, "সচিবালয়ে গেলে সচিবরা বলেন, কোনো সমন্বয়ক দিয়ে বলাতে পারলে কাজ হয়ে যাবে। তাদের এই মনস্তত্ত্বই দালালির প্রতিফলন। যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা সরকারের দালালি করবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বিগত সরকারগুলোর আমলে সচিব ও জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সংস্কার কমিশন এখন পর্যন্ত কোনো আমলার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এখান থেকেই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত।”

বদিউল আলম মজুমদার সংলাপের শেষ পর্যায়ে বলেন, “যদি সরকার আমাদের প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করে এবং সেগুলো সঠিকভাবে কার্যকর করে, তবে সংস্কারের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংস্কার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা আবশ্যক।”

এই সংলাপ থেকে দেশের প্রশাসন ব্যবস্থার দুর্বলতা ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নতুনভাবে সামনে উঠে এসেছে। এটি প্রশাসনের দক্ষতা বাড়াতে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert